কের্নুল বাস অগ্নিকাণ্ড: এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় হারিয়ে গেল বহু প্রাণ২০২৫ সালের ২৪ অক্টোবর ভোরবেলায়, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ-র Kurnool জেলার কাছাকাছি এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হল। এই দুর্ঘটনায় রাতের অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকা বহু যাত্রী একমাত্র যাত্রা থেকে ফিরতে না পেরে জীবনের আলোতে ঝাপসা হয়ে গেল।
ঘটনা কীভাবে ঘটল !!!
একটি প্রাইভেট ঘুমন্ত বাস ছিল National Highway 44 ধরে Hyderabad থেকে Bengaluru যাওয়ার পথে। ভোররাতে কাকতালীয়ভাবে একটি মটোসাইকেল বাসটির সঙ্গে ধাক্কা খায়, মটো বাসের নিচে আটকে যায়। তার পরে সেখান থেকে সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ হয় যাত্রীর মূল বাসের জ্বালানী ট্যাঙ্কে, দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তখন ঘুমিয়ে ছিলেন — দরজা আটকে ছিল, প্রধান প্রবেশপথ ব্যবহার করতে পারা যায়নি; যাত্রীরা জানালা ভেঙে, অথবা পেছনের বের হওয়ার রাস্তা দিয়ে ঝাঁপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন।

মৃত্যুর পরিসংখ্যান ও উদ্ধারকাজ :-
প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ১৯ থেকে শুরু হয়, পরে তা ২০-এর ওপরে উঠে যায়। আহত ও দুর্দশাজনিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বহু যাত্রী। বাসে আনুমানিক ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।চিহ্নিতকরণ কঠিন হচ্ছিল — দেহগুলো দগ্ধ অবস্থায় ছিল, তাই DNA পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।
কারোন ভিত্তিক ঝুঁকি ও তদন্ত –
প্রাথমিক তথ্য মতে, মটো আটকানোর পর বাসের ট্যাঙ্ক বা জ্বালানী সংলগ্ন অংশ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়া জরুরি বের হওয়ার পথ ও নিরাপত্তা বন্দোবস্ত দুর্বল ছিল: দরজা আটকে ছিল বা খোলার উপযোগী ছিল না। সরকারি কর্তারা ইতিমধ্যে এক বিশদ তদন্ত শুরু করেছেন।
সামাজিক ও প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া-
এই দুর্ঘটনা যেমন ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর ক্ষয় ঘটিয়েছে, তেমনই এটি আমাদের পরিবহন-নিরাপত্তার বাস্তব চিত্রও সামনে এনেছে। রাতের যাত্রায় ঘুমিয়ে থাকা মধ্যবয়সী কর্মীরা, যাদের অধিকাংশ দক্ষিণ ভারতের মেট্রোপলিস থেকে ফেরার পথে ছিলেন — হঠাৎ এক মুহূর্তে তাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে গেল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাস মালিক, অপারেটর ও পরিবহন বিভাগকে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।